রম্যরচনা: বসন্তোৎসব ২০২৩ ‘রঙের উৎসব’

Advertisement

হ্যাঁরে মদনা সকাল বেলায় মদ গিলেছিস্? হতচ্ছাড়া আজ রঙের খেলা পিচকিরি দিয়ে রঙ খেল? এই কথাগুলো মদনার উদ্দেশ্যে বললেন পাড়ার মাতব্বর মুকুল চৌধুরী।


মদনা উত্তরে বললো– সরকারি পর্যায়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। জোর করে রঙ দেবেন না? পশুদের সঙ্গে রঙ খেলবেন না। কেমিক্যাল বস্তু রঙ , চোখে মুখে জ্বালা করবে। সবার আনন্দ যেন নিরানন্দ না হয়।


তাই আমি দেখলাম রঙ ভেতরেই খেলা ভালো। এতে চামড়ায় দাগ পড়বে না! ক্ষয়ক্ষতি তো একেবারেই নেই। তাছাড়া শোধন করা বস্তু। সারাদিন মনটা রঙ্গীন চনমনে হয়ে থাকবে। না বলা কথাগুলো অম্লান বদনে বলতে ও শুনতে পারবো! মান অপমান গায়ে লাগবে না। উত্তমকুমার মদের বোতল নিয়ে সিনেমায় কি গান গাইতেন” এই তো জীবন,চালাও ফোয়ারা”।


চারিদিকের প্রকৃতির সবুজ রঙের সঙ্গে রঙিন ফুলগুলো সেজে উঠেছে। ওই ফুলের নির্যাস মেখে ভ্রমর ভ্রমরী গুনগুন গান করে। লুডো খেলো- ছক্কা,তাস খেলো- বিন্তি কাবার,দাবা খেলো- কিস্তিমাত, পিরিত করো- জলভাত। তাই ছিপি খোলো করবে ফোঁস ! একেবারে সিলকরা আনকোড়া বস্ত বস্ ? জীবনের রঙ বদলায়। কেমিক্যাল রঙ মেখে তারপর সেই রঙ তুলতে চামড়ার ক্ষতি। তাছাড়া মোষের মতন গা রগরেও সেই ছাপ থেকে যাবে,যেন তুমি দাগী আসামী। আর আমার ভিতরের রঙে কতো কুস্তি,কতো খিস্তি তারপরে ধস্তাধস্তি, তারপরে স্বস্তি।

বেন্দাবনে রাধাকেষ্ট রঙখেলার নামে অনাসৃষ্টি কারবার। সেখানে হরিবোলে তার মুক্তি। আর এখানে ওভাবে ঝোপঝাড়ে আদার বাদারে বনে প্রেমালাপ করলেই বুনো শুয়োরের তাড়া! এর জন্য ঝুলছে আইনের খাঁড়া? এখানে হরিবোলে মুক্তি নয় একেবারে গণ্ডগোল লাগিয়ে কংসের কারাগারে বন্দী! গায়ে রঙের ছাপ নেই মুক্তি, যতোই করো চালাকির ফন্দী? চারিদিকে মাকড়সার জালের মতো সিসিটিভি ক্যামেরা ঝুলছে। হাতে নাতে হেস্তনেস্ত, দাগী সাব্যস্ত! তাই মদের দিন দোল খেয়ে কেউ বাইক হাতে মোবাইল চালাবেন না ‌।

Advertisement
Advertisement

Leave a Reply

Developed by