কবি তানিয়া ইসলামের একটি কবিতা ‘পোড়া সুপ্রিয় জয়ধ্বনি’

পোড়া সুপ্রিয় জয়ধ্বনি তানিয়া ইসলাম শীতের বিকেল, বৃষ্টি ঝরে তবু বৃষ্টি নাকি গন্ধহীন স্বেদ কারা যেন মশাল জ্বালায় রাতে শীতের রাতে আকাশজোড়া খেদ। আমার ভীষণ ভয় করে তার জন্য যে ছেলেটা বাসে আটকা পড়ে যে ছেলেটা নিত্যযাত্রী ট্রেনে যে মেয়েটা একলা ফেরে ঘরে। আমার ভীষণ আপন মনে হয় প্রতিবাদের ভাষাটা যার অন্য রাত্রি জুড়ে জ্বালিয়ে…

Read More

কবি আজাদ মামুন -এর একটি কবিতা ‘জীবন ও স্বপ্ন’

জীবন ও স্বপ্ন আজাদ মামুন শ্রান্তি আর অবসাদে দুর্বহ হয়ে ওঠে আমাদের জীবন, আকাশের ছাউনি তলে মৃত্তিকা আমাদের শয়ন, দিগন্তগ্রাসী দৃষ্টির তীরে শিকার হয় আকাশ, নিচে জড়সড় ক্ষীণ দেহের শান্ত বসবাস। আমাদের স্বপ্নেরা সমগ্র আকাশে মেলে তাদের কুঁড়ি, বাঁধনহারা বাসনারা ছুটে চলে যেন নাটাইহীন ঘুড়ি, হৃদয়ের ভাঁজে ভাঁজে বিরাজিত শতশত মমতা, কল্পনার রাজ্যে চলে আমাদের নিরঙ্কুশ…

Read More

শুভায়ুর রহমান -এর একটি কবিতা ‘দেহ, মন নাকি ছাই’

দেহ, মন নাকি ছাই শুভায়ুর রহমান এক একটি সেকেন্ড নয়,সময় নয়,যেন যুগ যুগ,শত শত বছর, সব কথা, কথা নয়,সব মুহুর্ত, মুহুর্ত নয় , সব চাওয়া পাওয়া আর চাওয়া পাওয়াতে আটকে নেই। চাপা পড়েগেছে হৃদয়ের ভগ্ন স্তূপে,কোষে কোষে জীবন্ত জীবাশ্ম। গ্রামের শ্রমিক মাটি খুঁড়তে প্রথম আবিষ্কার, শহরের প্রত্নবিদ দেখেই বলেছে,এই নির্দেশন ভয়ানক, বুকের ভিতরে রক্তে কি…

Read More

কবি রফিকুল হাসান -এর একটি কবিতা ‘হোক কলরব’

হোক কলরব রফিকুল হাসান  বিশ্বকাপের উত্তাপে বঙ্গজুড়ে বুক কাঁপে অঙ্গজুড়ে থরহরি মনটা যে আজ খুব চাপে বিশ্বকাপের উত্তাপে বিশ্বজুড়ে বুক কাঁপে! ভুবনজয়ী হলে’রে মন ভুগবো না আর মনস্তাপে চতুর্দিক খুব নির্ভীক, খেলব খেলা মাতিয়ে মাঠ পেয়েছি সুযোগ দেখিয়ে দেবো শিখে নেব সহজপাঠ! মাটি চুমে স্বদেশভূমে শুধুই হর্ষ নয় বিমর্ষ এবার আমার ভারতবর্ষ জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ…

Read More

খালিদা খানম -এর একটি অণুগল্প ‘বিবি হাওয়া’

বিবি হাওয়া  খালিদা খানম জোহরের আজান হলেই সাবিনা বিবি র গজ গজনি শুরু হয়ে যায় । “সংসারে মুনিষ আমি, জাহানের কাজ! আমি গতর খাটায় মরি আর মিনষে হাওয়া লাগিয়ে বেড়ান ” আজও মুরগীর খুল্লা থেকে ডিম বের করতে করতে সাবিনা গজ গজ করেছিলো,” মাগী কি দরকার ছিলো মরদের কথা না শোনার! ” বড় বৌমা বাসন…

Read More

কবি ফিরোজ আখতার -এর একটি কবিতা ‘নির্লিপ্ততা’

নির্লিপ্ততা আমি নির্লিপ্ত থাকি… পানকৌড়ি’র ক্লীব ডানায় ভর করে তারা আমায় বিষমাখানো নীল রং দিতে চায়, মাৎসর্যবাণে ৷ কিলবিল করতে থাকা কেঁচোগুলি মাছের চারের মতো লৌহশলাকা’র অন্তিমভাগে লেপ্টে থাকে আমার কাব্যসত্ত্বাকে ম্যারিনেট করার জন্য ৷ তবু, আমি নির্লিপ্ত থেকে যাই । ওদের পিচ্ছিল অট্টহাসি ভিনিগারস্নাত হয়ে ছিটকে এসে পড়ে আমার গা’য়ে ৷ খাক হওয়া’র অনুভূতি…

Read More
Developed by