২রা নভেম্বর
অভিমন্যু মাহাত
ভোররাত্রি থেকেই আজ সুন্দরতা জেগে উঠছে এই ভূমিতে । আমাদের কথাগুলি ক্রমে অযোধ্যা
পাহাড়ে চলে যায় । সম্পর্ক নেই কোনও? একদা আমিও ভেবেছিলাম প্রেমার্তি । সুন্দরতা জেগে উঠছে
দুখের হারানো বাঁশিটিতে ।
হেমন্তের প্রতি আমার আস্থা নেই । ঠাণ্ডা লাগা শরীরে বিভ্রান্তিজাতক সেতু পার হই । মুখোমুখি
দূরপাল্লার লড়ঝড়ে লরি । মন ভালো করার ক্লাস যখন উঁচু দরজায় সাদা খড়ি দিয়ে আঁকা হয়, পেয়ে
যাই তোমাকে । রোদে-পোড়া স্মৃতি হাতে পেলে চলে যাই বনগ্রাম । ভাসানের দিকে নিয়ে যাওয়া যা
ভাসান হওয়া থেকে উল্লাসের চোটে পরস্পরের হোয়াটসআপ নীলরঙ অব্দি থেমে যাক ।
নিঃস্বতা আমাকে ডাকে, বাজারে গিয়ে বহুদিন আমাজপাতি কেনা হয়নি । আধোঘুমে ছিঁড়ে খায়
বিছানায় ওঠা দল বিচ্ছিন্ন পিঁপড়ে । মন্দ কৃষ্ণনাগরিক হতে চাই, বনগ্রামে । বিয়োগব্যথার ছাঁটে,
মানভূমের লোকগানে ওষধ সামগ্রি খরচ হল কিছু । হেমন্তের কোনায় বসে আছি, এবারের জন্মদিনে
নিরাময় ভাসছে ।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.